স্বদেশ ডেস্ক:
পশ্চিম তীরে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ২৪ মার্চ, রোববার ইসরায়েলের দৈনিক পত্রিকা ইয়েদিওথ আহরোনোথের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে অধিকৃত এই অঞ্চলে ইসরায়েলের বিমান হামলা বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
ইয়েদিওথ আহরোনোথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এই অঞ্চলে অন্তত ৫০টি বিমান হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ৭০ জন নিহত হয়েছে। বিমান হামলায় মৃত্যুর এই সংখ্যা নজিরবিহীন। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর থেকে বিমান হামলায় এত বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইসরাইয়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের একটি বড় বিদ্রোহ দ্বিতীয় ইন্তিফাদা নামে পরিচিত। এটি ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিশেষ করে শরণার্থী শিবিরে সম্ভাব্য অতর্কিত হামলা এড়াতে বিমান হামলা করেছিল ইসরাইয়েলি বাহিনী। এক্ষেত্রে ড্রোন এবং সামরিক বিমান উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছিল।
এছাড়া গাজা যুদ্ধের কারণে অধিকৃত পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন না থাকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি রাজনীতিবিদদের দাবি, হামাস পশ্চিম তীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে রমজানের সময় ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর আহ্বান জানানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৪৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২১ জনকে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ৯ জনকে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা হত্যা করেছে। এ সময়ের মধ্যে পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরে প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭২৫ শিশু রয়েছে।